খুলনায় কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলায় দু’জনের স্বীকারোক্তি, আটক আরও ১
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানা এলাকায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার পাইকগাছা ও ফুলতলা থেকে দুইজনকে এবং মঙ্গলবার ফরিদপুর থেকে এক আসামীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে দুই আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর হরিণটানা ইসলাম নগর এলাকার আজমিরার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত রাজআলীর ছেলে আবেদিন (১৯), একই এলাকার মালার বাড়ীর ভাড়াটিয়া রায়হান গাজীর ছেলে রাইসুল (১৮) এবং একই এলাকার রনি মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত মুকুল গাজীর ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে ফয়সাল (১৮)।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার হরিণটানা থানায় দায়ের হওয়া গণধর্ষণ মামলায় (যার নং-১, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৯-৩) বাদী জাকির ঘরামি উল্লেখ করেন, তার নিজ মেয়েকে (১৪) আসামী হাসিব ও মেহেদীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২ জন হরিণটানা থানা এলাকায় গণধর্ষণ করেন। তারই প্রেক্ষিতে হরিণটানা থানার একটি চৌকস টিম আধুনিক পেশাগত দক্ষতা, প্রযুক্তি ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনাকে কাজে লাগিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হকের নেতৃত্বে ৫ জুলাই আসামী আবেদিন (১৯) কে পাইকগাছা থানা এলাকা থেকে এবং রাইসুল (১৮) কে ফুলতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদ্বয় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তরিকুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। এরপর মঙ্গলবার ফরিদপুর নগরকান্দা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে ফয়সাল (১৮) কে গ্রেফতার করা হয়। ফয়সালও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়