খুলনায় করোনা ও উপসর্গে দু’জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৭২ জন
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৭২ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। এছাড়া এদিন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চিকিসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, বুধবার খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে মোট ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ২৫৩টি। এদের মধ্যে মোট ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৭২ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। এছাড়াও বাগেরহাটে ১২ জন, যশোরে দুইজন, সাতক্ষীরায় দুইজন ও গোপালগঞ্জে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, বুধবার পর্যন্ত খুলনায় করোনা আক্রান্ত ছিলেন ২ হাজার ৬৮০ জন। সন্ধ্যায় খুমেকের ল্যাবে জেলার আরও ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫২ জনে। এদের মধ্যে মোট ৬৩২ জন সুস্থ হয়েছেন, আর মারা গেছেন ৪২ জন।
এদিকে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে খালিশপুরের কাশিপুর এলাকার মৃত সেখ ওহাবের ছেলে আবুল কালাম (৬৫) ও উপসর্গ নিয়ে দৌলতপুরের মানিকতলা এলাকার আঃ খালেক এর ছেলে জিয়া (৩৯) মারা গেছেন।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও আইসোলেশন ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, গত ৬ জুলাই রাত ৯টা ১৫ মিনিট থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন করোনা আক্রান্ত আবুল কালাম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল ৫টায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া গত ৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে জ্বর শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন জিয়া। পরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।