খুলনায় করোনা ও উপসর্গে দুই নারীর মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ১৩৮ জন
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আজ শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে আরও ১৩৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ১৩৪ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। বাকিদের মধ্যে বাগেরহাট, নড়াইল, যশোর ও ঝালকাঠি জেলার একজন করে রয়েছেন। শনিবার রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষার পর এ তথ্য জানা গেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, শনিবার খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ২৭০টি। এদের মধ্যে মোট ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ১৩৪ জন খুলনার। বাগেরহাট, নড়াইল, যশোর ও ঝালকাঠি জেলার একজন করে রয়েছেন।
এদিকে খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রিমু ইসলাম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নগরীর নূরনগরস্থ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে বলেন, গত ২৬ জুন রিমু ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। এনিয়ে খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হলো।
অপরদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রওশন আরা (৫৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি বটিয়াঘাটা উপজেলার দারোগার ভিটা এলাকার ইসমাইল হাওলাদারের স্ত্রী।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকান্দার দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, ২ দিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে শারিরীক অবনতি হলে রাতেই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।