খুলনায় করোনা ও উপসর্গে আরও তিনজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৯৩
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় খুমেকের ল্যাবে নতুন করে ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, শুক্রবার খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে মোট ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ২৫১টি। এদের মধ্যে মোট ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৮৫ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। এছাড়াও বাগেরহাট জেলার পাঁচজন, যশোর জেলার দুইজন ও সাতক্ষীরা জেলার একজন রয়েছেন।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৬৪ জন। এদের মধ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩৯ জন।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকান্দার দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ও দুইজন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন।
তিনি আরও জানান, রূপসা উপজেলার আইচগাতী এলাকার ওমর আলী গাজীর ছেলে জিএম আবু বক্কর (৫৫) জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার সকাল ৯টার দিকে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবারই তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট কাশি সমস্যা নিয়ে খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন পিরোজপুরের জয়নাল উদ্দীন এর ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৫)। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে শুক্রবার রাতেও করোনার উপসর্গ নিয়ে মর্জিনা (২২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত মর্জিনা সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানাধীন একসরাই গ্রামের আলামিনের স্ত্রী। মৃতরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।