November 23, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

খুলনায় করোনার উপসর্গে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু

দ. প্রতিবেদক : খুলনায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে খুলনায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের উপসর্গে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার মৃতরা হলেন- মহানগরীর খালিশপুর থানা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গনির স্ত্রী জরিনা বেগম (৬০), রূপসা উপজেলার খাজাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মৃত আরশাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬০) যশোরের অভয়নগর এলাকার বাসিন্দা বাবুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা বেগম (৩৫), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত নিতাই এর ছেলে কার্তিক (৪০), মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার বাসিন্দা মোঃ আহমেদ আলীর ছেলে জামশেদ আলম (৬০), সোনাডাঙ্গা থানাধীন মোহাম্মদনগর এলাকার মফিজ উদ্দিন আহমেদ এর ছেলে নাসিম আহমেদ (৬০) ও টুটপাড়া এলাকার মৃত মৌলভী আহমেদ হোসেন এর ছেলে ফিরোজ আহমেদ (৬৯)
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডের ফোকাল পার্সন ডা. মিজানুর রহমান দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ জুন খুমেকের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন খালিশপুরের জরিনা বেগম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান। ১৯ জুন রাতে ভর্তি হন রূপসার মোহাম্মদ আলী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে তিনি মারা যান। ১৮ জুন ভর্তি হন যশোরের অভয়নগর এলাকার রুমা বেগম। শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। একই ওয়ার্ডে গত ১৮ জুন ভর্তি হন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কার্তিক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভর্তি হন মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার বাসিন্দা জামশেদ আলম। তিনিও সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মারা যান। দুপুর ২টার দিকে স্ট্রোক করে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন মোহাম্মদনগর এলাকার নাসিম আহমেদ। পরে তার করোনা সন্দেহ হলে বিকাল ৩টায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বিকাল পৌনে ৪টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নগরীর টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ করোনার উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রাত সাড়ে ৮টায় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার মারা যাওয়া ৭ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য প্রত্যেকেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে খুলনায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের নমুনা পরীক্ষার পর কয়েকজনের করোনাও শনাক্ত হয়েছে। খুমেক হাসপাতালেল আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসক স্বল্পতাসহ সরঞ্জামেরও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *