November 28, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

খুলনায় করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়নি

দ. প্রতিবেদক
খুলনায় এখনও পর্যন্ত কোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। সবকিছু বন্ধ থাকায় যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাঁদের সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। বন্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন হলে সরকারের সকল কাজে সমন্বয় করা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সার্কিট হাউজে করোনা পরিস্থিতি, কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ বিতরণ বিষয়ে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ১৬ লাখসহ খুলনা জেলায় ২৪ লাখ মানুষের মানুষের বাস। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসকল মানুষের নিয়মিত খোঁজ খরব নেওয়া হচ্ছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে সাংবাদিকরা যদি দায়িত্বশীল হয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেন তাহলে সমন্বয় করে সরকারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনা জেলার জন্য ইতোমধ্যে আটশ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১ লাখ নগদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিন লাখ টাকা শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ আছে। এর সাথে স্থানীয় মজুদ যোগ করে ইতোমধ্যে ৯৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এসকল সাহায্য জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিতরণ চলছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, সাধারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন সেবা চালুর প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটা দু’একদিনের মধ্যেই চালু হবে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোঃ রেজা সিকান্দার জানান, খুলনায় করোনাভাইরাস টেস্ট শুরু হওয়া দু’দিনে ৩৪টি নমুনার মধ্যে কোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি। তিনি আরও জানান, খুলনা ডায়বেটিক হাসপাতাল ইতোমধ্যে করোনভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে চারটি ভেন্টিলেটার সুবিধাসহ ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ জন চিকিৎসক এবং ৪২ জন নার্সের সমন্বয়ে চিকিৎসাদল গঠন করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফ্লু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে করোনাভাইরাস সন্দেহ বা শনাক্ত হলে তাদেরকে ডায়বেটিক হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে। চিকিৎসকরা নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে অবস্থান করবেন। রোগীদের আইসোলেশনের জন্য এ্যাম্বাসেডর এবং মিলিনিয়াম হোটেল দুটো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনায় ১৯৫০ জন হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ইতোমধ্যে ১৮৩৫ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। ১৭ জন আইসোলেশনে আছেন।
মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কেএমপির বিশেষ পুলিশ সুপার শাকিল, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *