খুলনায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ
আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল
জয়নাল ফরাজী
অবশেষে আজ মঙ্গলবার থেকে খুলনায় শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) পরীক্ষা। ইতোমধ্যে করোনার পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। গতকাল সোমবার দুপুরে দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ এস এম তুষার আলম জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে তৈরী হয়েছে মলি কুলার ল্যাব। এরপর স্থাপন করা হয়েছে পিসিআর মেশিন। করোনা পরীক্ষার জন্য খুলনায় ৭০০ কিট পৌঁছেছে। আইইডিসিআরের টিম এসে খুলনার ৭ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনা ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যাদের স্যাম্পল পাঠাবেন শুধুমাত্র তাদের করোনা টেষ্ট করা যাবে। একসাথে ৯০ টির বেশি নমুনা একসাথে পরীক্ষা করা যাবে। চার ঘন্টায় জানা যাবে ফলাফল।
খুমেক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া পিসিআর (পলিমারজ চেইন রিঅ্যাকশন) সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে খুমেক এসে পৌঁছায়। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল সকালে করোনা পরীক্ষার কিট খুলনায় এসে পৌঁছেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর মেশিন দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রি পরীক্ষা করা যাবে। পিসিআরের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহভাজন রোগীর রক্ত, ঘাম ও কফ পরীক্ষা করা হবে। যে কেউ চাইলেই নিজে নিজে এসেই পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারবেন না।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল। ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ শেষে শুরু হয়েছে ডিউটি। শুধুমাত্র আক্রান্ত রোগীদেরই সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। তবে শনাক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত রোগীদের রাখা হবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবনের ফ্লু কর্নারে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, করোনাভাইরাস বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে খুলনা ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রস্তুত। মহানগরীর বয়রা নূরনগরে হাসপাতালটি চারটি আইসিইউ বেডসহ মোট ৮০টি বেডের ব্যবস্থা। এছাড়া কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ানো হবে আরো ১০টি আইসিইউ বেড।
তিনি বলেন, ৬০ জন চিকিৎসক, ৬০ জন নার্স ও ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিযুক্ত আছেন সেবায়। প্রয়োজনে হাসপাতালটির বেড ও চিকিৎসক বাড়ানো হবে।