খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে মাসব্যাপী একুশে বইমেলা শুরু
দ: প্রতিবেদক
‘বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনায় শুরু হলো জেলা প্রশাসন, খুলনা’র উদ্যোগে আয়োজিত মাসব্যাপী একুশে বইমেলা ২০১৯। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় নগরীর বয়রাস্থ খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে বই মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, একুশ আজ কেবল আমাদের নয়, পৃথিবীর সকল মানুষের মাতৃভাষার প্রতীক। ভাষা একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করে। একুশের চেতনাকে ধারণ করে বাংলা ভাষার অনুশীলন বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, এই মেলা আমাদের ভাষার ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। বই আমাদের পরম বন্ধু। আলোকিত মানুষ হতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেশি বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক নিভা রানী পাঠক, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: সাহেব আলী, রবি আজিয়াটা লিমিটেড খুলনার ক্লাষ্টার মার্কেট ডিরেক্টর মো: হামিদুল হক ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি খুলনার জেলা সভাপতি মো: আলমগীর। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক ড. মো: আহসান উল্যাহ।
বইমেলার উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বইমেলা প্রাঙ্গণে লেখক কুঞ্জ এবং সিটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, খুলনার স্টল উদ্বোধন করেন। বইমেলার আলোচনা সভা শেষে তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচিত ১০০ ভাষণ’ বইটির মোড়ক উন্মোচন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
পরে আবৃত্তি সমন্বয় মঞ্চের বাচিক শিল্পীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি অনুষ্ঠান এবং শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এস এম হুসাইন বিল্লাহ, অধ্যাপক শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু, শামীমা সুলতানা শিলু এবং সাইফুল ইসলাম মল্লিক।
বইমেলা প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিন বিকালে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। বইমেলা প্রাঙ্গণ ধূমপানমুক্ত এলাকা হিসেবে গণ্য হবে। প্রতিদিন শিশুদের জন্য উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি, নতুন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উম্মোচন, চিত্রাঙ্কন,সঙ্গীত ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বই পাঠের ব্যবস্থাও থাকবে। এবারের বই মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা, সাহিত্য সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরিসহ ৯৫টি স্টল অংশ নিয়েছে।