খুলনায় উপকূলীয় অঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার
তথ্য বিবরণী
খুলনায় ‘উপকূলীয় অঞ্চলের দলিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জলবায়ু বিপন্নতা: সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অজর্নে অন্তর্ভূক্তি’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার গতকাল মঙ্গলবার সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নাগরিক উদ্যোগ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে অতিথিরা বলেন, এসডিজি’র মূল লক্ষ্য হলো কাউকে পেছনে না রেখে, সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের মূল ধারায় এগিয়ে যাওয়া। এজন্য সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে এসডিজি’র লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উপকূলীয় খুলনাঞ্চলে দলিত নানা-শ্রেণি পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, সুপেয় পানি ও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমগুলো সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা খুলনাঞ্চলের উপকূলীয় দলিত জনগোষ্ঠীর সমস্যাগুলো উল্লেখ করে তা সমাধানে কিছু সুপারিশ করেন। সুপারিশগুলো হলো: দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা; সুন্দরবননির্ভর পেশার পরিবর্তে বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি; শিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ উল্লেখযোগ্য
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দ রবিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়াদ্দার, উপ-বন সংরক্ষক মোঃ কবির হোসেন পাটোয়ারী, বটিয়াঘাটা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন নাগরিক উদ্যোগের প্রকল্প সমন্বয়কারী ইসতিয়াক মাহমুদ। স্বাগত জানান পরিবর্তন খুলনার নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হাসান ডেভিড। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন সংগঠনের সভাপতি মনি রাণী দাস।
এতে খুলনার কয়রা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।