খুলনায় আরও পিসিআর ল্যাব ও দক্ষ জনবল দাবি বিএমএ’র
প্রতিবেদক
খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আরও পিসিআর মেশিন স্থাপন এবং দক্ষ জনবল বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ খুলনা শাখা। পিসিআর সেন্টারের স্বল্পতার কারণে খুলনায় প্রায় দশ হাজার নমুনা জমা হয়ে আছে বলে সূত্র জানিয়েছে। দীর্ঘদিন জমা থাকার কারণে অনেক নমুনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও বিএমএ দাবি করেছে।
বিএমএ খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম প্রেরিত আবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারীর এই সংকটকালীন সময়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পিসিআর মেশিন স্থাপন করে করোনা ভাইরাস শনাক্তের কাজ করা হচ্ছে। জুন মাসের প্রথম থেকে খুলনায় করোনা গণসংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্দেহভাজন উপর্সগযুক্ত রোগীরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষাহীন থেকে অনেকেই সংক্রমন ছড়াচ্ছেন। যা এই জনপদের সচেতন মানুষদের আতংকিত করে তুলেছে। সন্দেহ ভাজন উপর্সগ যুক্ত রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে যে দক্ষ জনবল থাকা প্রয়োজন তা না থাকায় অনেক সময় অনেক নমুনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
টেস্ট করার সক্ষমতার অভাবে রোগীদের যেমন দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে একইভাবে অনেক দিন ধরে নমুনা ফেলে রাখায় পরিক্ষার মান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। সাধারণ অনেক রোগীর অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারনে বেসরকারী হাসপাতালে অপারেশন করা বা ভর্তি হওয়া জরুরী হলেও করোনা উপর্সগ থাকায় বেসরকারী হাসপাতাল সমূহ করোনা পরীক্ষার রির্পোট না নিয়ে ঐ সব রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা করতে চাচ্ছেন না। যে কারনে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ, অনেক মারতœক ঝুঁকিপূর্ণ রোগী মৃত্যুবরণ ও করছেন । যার ফলে সরকারের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমন জনরোষ সৃষ্টি হচ্ছে।
ডাঃ বাহার বলেন, এসব কারনেই খুলনায় আরও একটি মেশিন ও দক্ষ জনবল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।