খুলনায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার দু’সদস্য গ্রেপ্তার
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়লাপোতা মসজিদ এলাকা থেকে গত সোমবার রাতে নাসিম ও হাসান নামের ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি খুলনা মেট্রো অ্যান্ড জেলা ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা নিজেদের আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। এই দুজন বোমা ও আইইডি তৈরির কারিগর। তাঁরা অনলাইনে ও অফলাইনে খুলনা এলাকায় আনসার আল ইসলামের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের সময় নাসিম ও হাসানের কাছ থেকে বোমা ও আইইডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে হাতে লেখা দাওয়াতি লিফলেট, চাঁদা আদায়ের রশিদ, ডায়েরি, সদস্য সংগ্রহের ফরম, আনসার আল-ইসলামের কালার লিফলেট, সদস্যদের নির্দেশনা লিফলেট, বই, স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার নাসিমের বাড়ি খুলনা মহানগরীর পূর্ব বানিয়াখামার নাজিরঘাট রোডে। তিনি লবণচরা থানার মোহাম্মদনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। হাসানের বাড়ি শরিয়তপুরের সখিপুর থানার খাসগাজীপুর গ্রামে। তিনিও লবণচরা থানার মোহাম্মদনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ কর্মকর্তা তাপস কর্মকার বলেন, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক ও উগ্রবাদী বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আসছিলেন। তাঁরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের উগ্রবাদী মতবাদ প্রচারণা এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে সদস্য সংগ্রহ, দাওয়াতি কার্যক্রম, সদস্যদের নিকট হতে চাঁদা আদায় এবং নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। তাঁরা আনসার আল ইসলামের উগ্রবাদী বিভিন্ন বই বিতরণ করতেন। আগ্রহীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তাঁদের উগ্রবাদের দিকে আহ্বান করার কাজ করছিলেন।
এছাড়া তাঁরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার এবং আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা করার উদ্দেশ্যে বোমা তৈরির সরঞ্জাম নিজেদের হেফাজতে রাখতেন নাসিম ও হাসান। তাপস কর্মকার বলেন, সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন করায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়