খুলনায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
তথ্য বিবরণী
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কার্যালয়, এই কর্মশালার আয়োজন করে। খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইকেট্রনিক মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেক ডিসিপ্লিন প্রধান অধ্যাপক ড. সরদার সদরুল ইসলাম বলেন, খুলনা অঞ্চল একটি উপকূলীয় এলাকা। এই এলাকার কৃষিজ পরিবেশ অন্য এলাকা থেকে আলাদা। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলার লবণাক্ত জমি রয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই উপকূলীয় এলাকায় কিভাবে ঘাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সে জন্য সরকারি বেসরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নানান গবেষণা হচ্ছে। লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য ভূট্টা.তরমুজ, সূর্যমুখীসহ লবণ সহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফলতাও পাওয়া গেছে। এধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মিডিয়ার মাধ্যমে চমৎকারভবে জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। নতুন প্রযুক্তির সফলতা নিয়ে মিডিয়ায় প্রচার হলে সেই প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত সহজ হবে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন সম্ভব হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কমশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহন কুমার ঘোষ, দৌলতপুর হটিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বিটিভির খুলনা প্রতিনিধি মকবুল হোসেন মিন্টু। ধানের বিভিন্ন নতুন প্রজাতি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাতক্ষীরা ধান গবেষণা ইহ্নটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ ইব্রাহিম। ই-কৃষি বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাদ্দেক হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন কৃষি তথ্য সংগঠক এস এম আহসান হাবীব।