খুলনার ২৬টি নদী-খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত
পাঁচ দিনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৪০টি অবৈধ স্থাপনা
দ: প্রতিবেদক
খুলনার ময়ূর নদসহ ২৬টি খাল দখলমুক্ত করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের অভিযানে একটি তিনতলা, একটি দোতলা ভবনসহ পাঁচটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযানে গত পাঁচ দিনে ৪০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)’র এস্টেট অফিসার মো. নূরুজ্জামান তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ অভিযান শুরু হয়। প্রথম চার দিন অভিযান ছিল ময়ুর নদীর বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকায়। পঞ্চম দিনে এ অভিযান চলে নিরালা ও প্রান্তিক আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ময়ুর নদীর তীরে।
তিনি আরও জানান, এখানে নদী ও খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ৩৮২টি। এর মধ্যে ময়ূর নদীতে ৭৯ জন ব্যক্তি ৬৩টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। যতক্ষণ নদী ও খালে এসব অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার থাকবে, ততক্ষণ উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
পঞ্চম দিনের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কেসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিলাহ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, কেসিসির এস্টেট অফিসার মো. নূরুজ্জামান তালুকদারসহ পুলিশের একটি টিম।
কেসিসি’র সম্পত্তি বিভাগের কর্মচারী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এ অভিযানে অবৈধভাবে নির্মিত নৌ-কর্মকর্তার চারতলা ভবনও রয়েছে। সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। ভবনটি খুবই মজবুতভাবে তৈরি করা। যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, তা দিয়ে এত বড় ভবন দ্রুত উচ্ছেদ করা কঠিন। ওই ভবনটি উচ্ছেদে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
কেসিসি’র সূত্রে জানা গেছে, ময়ূর নদী ও ২৬টি খালে যৌথ জরিপ চালায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সরকারের চারটি সংস্থা। ইতোমধ্যে সেখানে ৪৬০ জন দখলদারের তালিকা তৈরি করা হয়। মহানগরীসহ আশপাশের খাল ও নদীতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে দুই পাড় দখল করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় সড়ক, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে পানি জমে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। এ কারণে ময়ূর নদী ও ২৬টি খাল দখলমুক্ত করতে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। এর আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করে জেলা প্রশাসন।