খুলনার সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে চান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ডলি
পাইকগাছা প্রতিনিধি
খুলনার সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হতে চান পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কৃতি সন্তান সুরাইয়া বানু ডলি। তিনি গত ১৮ জানুয়ারী আওয়ামী লীগের ধানমন্ডীস্থ দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সুরাইয়া বানু ডলি পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন উপজেলা সদরের দু’টি সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষকতা করার কারণে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তার সকল কর্মকান্ড পরিচালিত করেছেন। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে তিনি কাজ করেছেন। তিনি ২০১৫ সালে সরকারি চাকুরি থেকে পূর্ণ অবসর গ্রহণ করেন। এলাকার এমন কোন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নাই যেখানে তার অবস্থান নাই। প্রায় প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। শুধু শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান নন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবেও দাবী করে থাকেন। তার পিতা শহীদ শেখ মাহাতাব উদ্দীন মনি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই তিনি শহীদ হন। ডলির বড় ভাই শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছিলেন। তার ছোট চাচা শেখ বেলাল উদ্দীন বিলু ছিলেন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি। তার বোন সাবিনা ইয়াসমিন মালা বর্তমানে পঞ্চগড় জেলার জেলা প্রশাসক হিসাবে কর্মরত রয়েছে। ভাই শেখ কামরুল হাসান টিপু খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক, আরেক ভাই শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক। সুরাইয়া বানু ডলি এলাকায় সবার কাছে ডলি আপা হিসাবে পরিচিত। তিনি শিব্সা সাহিত্য অঙ্গনের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহ-সভাপতি দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি তার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরে থাকেন। তিনি সরকারের সাফল্য ও অর্জন নিয়ে কয়েকটি প্রবন্ধও লিখেছেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করতে চান বলে জানান।
সুরাইয়া বানু ডলি বলেন, অবহেলিত সুন্দরবন সংলগ্ন এ এলাকা থেকে ইতোপূর্বে কোন নারী মনোনয়ন প্রত্যাশা করেনি। আমি ব্যক্তিগত সরকারি চাকুরি করার কারণে সরাসরি রাজনীতি করতে পারিনি। তবে আমি আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। সে অনুযায়ী জন্মসূত্রে আমি আওয়ামী লীগের। আমার বিশ্বাস নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসাবে আমার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আমার প্রতি সদয় হবেন এবং আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসাবে নির্বাচিত করে নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দিবেন।