খুলনার রিক্সাচালক কামরুলের জীবন বাঁচতে পারে ৬০ হাজার টাকায়!
দ. প্রতিবেদক
খুলনার বটিয়াঘাটার হোগলাডাঙ্গায় কেয়ারটেকার হিসেবে একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন কামরুল। ৮ বছর আগে কামরুলের একমাত্র ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। কামরুলের স্ত্রী একটি চায়ের দোকান দিতেন। করোনার লকডাউনে দোকানের পুঁজি ভেঙ্গে খেয়ে এখন নি:স্ব তারা। দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। সহায় সম্বল যতটুকু ছিল তা দিয়ে একটি কেমো থেরাপি দিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আরও ৫টি কেমো লাগবে।
অসুস্থ কামরুল বলেন, কয়েকমাস আগে খুলনার কিউর হোম ডায়াগণস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখানোর পর টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারি ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছে। সেই থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার একটি কেমো দেওয়া হয়েছে। ২১ দিন পর পর বাকী ৫টি কেমো দিতে হবে। এর জন্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন। আমি পরিবারের জন্য বাঁচতে চাই। দেশের স্বহৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। পাশাপাশি সকলের কাছে দোয়ার কামনা করছি।
কামরুলের স্ত্রী জোছনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। নিয়মিত ঔষধও কিনতে পারছি না। চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা যোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র ছেলে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে মারা যায়। যাদের কাজ করতে গেছিল সেখান থেকে কোন ক্ষতিপূরণ পাইনি। আমার ছেলের ছোট ছোট দুটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী আগে রিক্সা চালাত। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর তাও পারছে না। আমি রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকান দিতাম। করোনার লকডাউনে তাও শেষ। এখন যদি কিছু পুঁজি পেতাম তাহলে আবার চায়ের দোকান দিতে পারতাম।
সকলের সাহায্য সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে কামরুলের প্রাণ, অন্যদিকে সকলের সহযোগিতা বাঁচিয়ে রাখবে একটি দরিদ্র পরিবারকে। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা: হিসাব নং- ০০৬১১২০১৫৩২২৪, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, খুলনা শাখা। কামরুলের সাথে কথা বলতে যোগাযোগ করুন ০১৯৭৭-৩৯০৬৯০ (বিকাশ পার্সোনাল) নম্বরে।