খুলনার বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার বাদামতলা বিআরটিএ অফিসে তিন ঘন্টার অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় দুদকের অভিযানের খবর পেয়ে দালালরা দেয়াল টপকে পলিয়ে যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাওনা মিয়ার নেতৃত্বে বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন। অফিসে রেজিস্ট্রেশন, গাড়ীর কাগজপত্র তৈরী, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ধাপে ধাপে ঘুষ দিতে হয় এমন একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং প্রতিষ্ঠানটিতে দালাল দোরাদ্র বেড়ে যাওয়ায় গতকাল রবিবার সকাল পৌনে ১১টায় বাদামতলাস্থ শিরোমণি বিআরটিএ অফিসে প্রবেশ করে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে অভিযান চালায়।
এসময় অভিযানের খবর জানতে পেয়ে দালালরা প্রতিষ্ঠানটির দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়। দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করে দুদুক টীম। স্থানিয় একাধিক সুত্র জানান বিআরটিএ অফিসে অভিযান চলাকালিন সময় অফিসের বাইরে রাস্তার উপর দাড়িয়ে দালালরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেখে গেছে। তিন ঘন্টার অভিযান শেষে দুদুক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে সকল যানবাহনের জন্য সরকার নির্ধারিত নিবন্ধন ফি আলাদা আলাদা বোর্ডে অফিসের সামনে দেওয়ার জন্য।
উপস্থিত গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপ-পরিচালককে মটরসাইকেলের সো-রুম থেকে মটরসাইকেল নিবন্ধন করার জন্য সরকার নির্ধারিত ফিসের থেকে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি নেওয়া হয় এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় বিআটিএ’র উপ-পরিচালক জিয়াউর রহমান বলেন উল্লেখিত অভিযোগে যথাযথ ব্যবস্থা নেওযা হবে। তিনি আরো বলেন রাস্তায় চলমান ২০% ট্রাক এবং ৬০% বাস ফিডনেস ছাড়াই চলে। এ ব্যাপারে মাননীয় সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে গাড়ীর আইউশকালিন নির্ধারনের জন্য একটি নীতিমালা প্রনোয়নের কাজ চলছে। এদিনে দুদুকের উপস্থিতে প্রতিষ্ঠানটির কাজের গতী ফিরে আসে।