খুলনার দুই হাসপাতালে আরও ৯ জনের মৃত্যু
দ. প্রতিবেদক
খুলনার দুইটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সাত নারীসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে সাতজন ও গাজী মেডিকেলে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সাতজন নারী ও দু’জন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে ৫ জন নারী ও দুজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন নগরীর আড়ংঘাটা এলাকার বেবী রহমান(৫৭), বটিয়াঘাটার সায়িরা বেগম (৭০), কয়রার সুনীল (৫০), একই উপজেলার বিনীতা (৫৪), দিঘলিয়ার শিউলি বেগম (৩৬), খালিশপুরের আব্দুল মালেক(৪০) ও নড়াইল সদরের নার্গিস কামাল (৫০)।
এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৮ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৪৭ জন, ইয়ালো জোনে ৪০ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১১ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ দেবনাথ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৩৬ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোন রোগী ভর্তি হয়নি। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে কোন রোগির মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭ জন। তার মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আর ১৭ জন নারী। গত ২৪ ঘন্টায় কোন রোগি ভর্তি হয়নি। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৬৩ জন ভর্তি রয়েছেন। আইসিইউতে চিকিৎসায় রয়েছেন ১০ জন এবং এইচডিইউতে ২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৭ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের মালিক ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক প্রথম ফেজের আমেনা খাতুন (৪১) ও নড়াইলের মহেশখোলা এলাকার এরিনা বেগম (৪৬)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০ জন।আইসিইউতে রয়েছেন ৭ জন এবং এইচডিইউতে ৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়