খুলনার ত্রুটিপূর্ণ রেলস্টেশন যাত্রীদের মরণ ফাঁদ, অবিলম্বে সংস্কারের দাবি
খুবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শোক র্যালি
রেলস্টেশনে নাগরিক সমাজের মানববন্ধন
দ. প্রতিবেদক
খুলনা রেল স্টেশনের প্লাটফরম এবং ট্রেনের মধ্যকার অস্বাভাবিক উঁচু নীচু অবস্থা এবং ফাঁক কমিয়ে তা রাজশাহী স্টেশন বা বিদেশের রেল স্টেশনের মতো সমতল করার জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি, শিক্ষার্থী সবার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছে যাতে স্টেশনে দুর্ঘটনায় প্রফেসর মিজানুর রহমানের মতো আর কোনো মানুষের জীবনহানি না ঘটে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার ও এভায়রণমেন্ট ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ও সদ্যঅবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে আয়োজিত শোকর্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাকালে এ দাবি করা হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, খুলনা রেল স্টেশন খুলনার মানুষের প্রাণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার নির্মাণ করেছে। কিন্তু এটার প্লাটফরম ও ট্রেনের মধ্যে অস্বাভাবিক উঁচু নিচু অবস্থা রয়েছে, ট্রেন ও প্লাটফরমের মধ্যে ফাঁকাও বেশি, যা বৃদ্ধ, শিশুর জন্য ওঠা-নামায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আর এ অবস্থার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যঅবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান দুর্ঘটনার শিকার হন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা রেল স্টেশনের মতো দেশে যতোগুলো স্টেশন ত্রæটিপূর্ণ আছে তা সংস্কার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান, যাতে কোনো যাত্রীর অকালে প্রাণ হারাতে না হয় বা দুর্ঘটনার শিকার না হতে হয়।
সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর মোঃ সানাউল ইসলাম। এদিকে, শোকর্যালি শেষে জানানো হয় ত্রæটিপূর্ণ খুলনা রেল স্টেশনের সংস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকপত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে রেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট শীঘ্রই প্রেরণ করা হবে। এর আগে হাদী চত্ত¡র থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোকর্যালি বের হয়ে শহিদ তাজউদ্দীন