খুলনার তিন হাসপাতালে করোনায় ৮ জনের মৃত্যু
দ. প্রতিবেদক
খুলনার তিনটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে তিনজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন ও গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, ২০০ শয্যা করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতরা হলেন খুলনার কয়রার আফসার গাজী (৬০), তেরখাদার মরিয়ম (৭৪) ও চুয়াডাঙ্গা সদরের গিয়াস উদ্দিন (৯০)। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২৯ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৫১ জন, ইয়ালো জোনে ৪৫ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১৩ জন রয়েছেন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর শামসুর রহমান রোডের মনোয়ারা বেগম (৬৭) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের দেলোয়ার হোসেন (৭০)। এছাড়া হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন রোগী ভর্তি হয়। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৩ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৯ জন। এর মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৭ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি।হাসপাতালের ৯০ শয্যার করোনা ইউনিটে ৫৭ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১১ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন এবং এইচডিইউতে ২ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের মালিক ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর বয়রা রায়েরমহল এলাকার শেখ আব্দুর সবুর (৭৫), ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের লুৎফর রহমান (৯০) ও ঝিনাইদহ সদরের মো. আনসার উদ্দিন (৮০)। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। আইসিইউতে ৪ জন ও এইচডিইউতে ৩ জন রয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়