খুলনার তিনটি হাসপাতালে আরও করোনায় ১৪ জনের মৃত্যু
দ. প্রতিবেদক
খুলনার তিনটি হাসপাতালে আরও ১৪ জনের মৃত্যু খুলনার তিন হাসপাতালে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনায় ১২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতরা হলেন- রূপসার সুফিয়া (৪৫), নগরীর সোনাডাঙ্গার আসাদুল হক (৭৫), খালিশপুরের শাহারা বেগম (৬৫), আফিলগেটের নাজির আহমেদ (৭০), খুলনার রাজিয়া (৫০) ও যশোরের এমএ খলিল (৮০)। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। যার মধ্যে রেডজোনে ১২১ জন, ইয়ালোজোনে ৩৬ জন, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৭ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এশিয়া ৩২ জন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘন্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গা মেইন রোড এলাকার আরোয়া ফকরুদ্দীন (৪৪) ও যশোর কেশবপুরের মঞ্জুয়ারা বেগম (৫০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৩৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৮ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নগরীর ডালমিল মোড় এলাকার গোলাম কিবরিয়া (৬৮), রূপসার জীবন কৃষ্ণ পাল (৫৭) তেরখাদার মফিজুল ইসলাম (৫৫) ও অভয়নগরের জেসমিন বেগম (৪৫)। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭১ জন। তার মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ ও ৩৭ জন নারী। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন রোগী। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন দুজন ও বাড়ি ফিরেছেন তিনজন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়