খুলনার টানা তৃতীয় হার প্রথম জয় পেল রাজশাহী
ক্রীড়া ডেস্ক
বিপিএলের চলতি ষষ্ঠ আসরে নিজেদের প্রথম খেলায় ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৮৩ রানে হেরে গিয়েছিল রাজশাহী কিংস। গতকাল বুধবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটানসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরল মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন রাজশাহী কিংস। এর ফলে নিজেদের প্রথম তিনটি ম্যাচে পরাজয় বরণ করলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস।
দলের জয়ে ব্যাট হাতে ৪৫ বলে ৫১ রান করেন অলরাউন্ডার মিরাজ। এছাড়া ৪৩ বলে ৪৪ রান করেন মুমিনুল হক সৌরভ। এর আগে দুর্দান্ত বোলিং করেন রাজশাহীর লংকান পেসার ইসিরু উদানা। তার গতির মুখে পড়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা।
এনিয়ে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে গেল মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইটানস। এর আগে নিজেদের প্রথম দুই খেলায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ এবং ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১০৫ রানে হেরে যায় খুলনা।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলায় রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনীতে ৪০ রান করা খুলনা এরপর ৪ রানে হারায় ৩ উইকেট।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দলের হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদ। দলীয় ৬৪ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডবিউ হয়ে ফেরেন রিয়াদ।
উদ্বোধনীতে ৪০ রানের জুটি গড়েন খুলনা টাইটানসের দুই ওপেনার পল স্টারলিং এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী। তাদের এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর। জাতীয় দলের এই তারকা পেসারের গতির বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুলনার আইরিশ ওপেনার পল স্টারলিং (১৬)।
এরপর কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। রাজশাহীর শ্রীলংকান পেসার ইসির“ উদানার বলে ফজলে মাহমুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জুনায়েদ। সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে ২৩ রান করেন জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া এই ওপেনার।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা জহুরুল ইসলাম অমি রানের খাতা খুলতে না খুলতেই আরাফাত সানির ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হন। দলের স্কোর মোটাতাজা করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আরিফুল হক। তার আগে ১৬ বলে মাত্র ১২ রান করেন তিনি। শেষ দিকে দলের প্রয়োজন অনুসারে ব্যাটিং করতে পারেননি ডেভিড মালান, ডেভিড ওয়াইজরা।
১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারান রাজশাহীর পাকিস্তানী ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাইজুল ইসলামের স্পিনে বিভ্রান্ত হন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক হাফিজ। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটে মিরাজের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দেন মুমিনুল হক সৌরভ।
শেষ দিকে রাজশাহীর জয়ের জন্য ৩৪ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮ রান। হাতে ৯ উইকেট। এমন সময় উইকেট হারান মুমিনুল। পল স্টারলিংয়ের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৩ বলে ৪৪ রান করেন মুমিনুল।
এরপর ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন ইনিংসের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলা মিরাজ। শেষ দিকে জয়ের জন্য রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ৮ বলে ৪ রান। ডেভিড ওয়াইজকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন সৌম্য সরকার।