খুলনার চার হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে একের পর এক ভাঙছে রেকর্ড। প্রাণঘাতী করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে খুলনার পৃথক চারটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তাদের মৃত্যু হয়। যা এ পর্যন্ত খুলনার হাসপাতালে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা হাসপাতালে ১০ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ জন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- বাগেরহাটের ফকিরহাটের সুনীল রায় (৭৫), বটিয়াঘাটার নারায়ন চন্দ্র (৮০), যশোরের ঝুমুর বেগম (৪৫), নড়াইলের এসএম বোরহান (৪৫), যশোরের কেশবপুরের সুকান্ত কুণ্ডু (৫৫), সোনাডাঙ্গার ঝর্তা বেগম (৬০), বাগেরহাটের আব্দুল হামিদ (৮৭), কেশবপুরের শরিফা (২৭) ও লবণচরার রুমানা বেগম (৭১) এবং হাসপাতালের ইয়েলো জোনে উপসর্গ নিয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মালিক ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- মুসলমান পাড়ার নাসরিন আরা বেগম (৪৫), সোনাডাঙ্গার আব্দুল হাই (৬৭), নড়াইলের লুৎফুর রহমান (৬২), ডুমুরিয়ার উম্মে কুলসুম (৭০) ও টুটপাড়ার নাসিমা বেগম (৪৬)।
জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- সোনাডাঙ্গার রেজাউল (৭০), তেরখাদার আকলিমা (৭৫), যশোরের পদ্মা রানী (৬৪), বাগেরহাটের প্রভু নাথ (৫০) ও রামপালের রুহিকরণ (৬০), খুলনার বটিয়াঘাটর হায়দার (৭৫) ও খানজাহান আলী থানার যোগিপুল এলাকার মমতাজ (৬০) নামে দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ফোকাল পারসন ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় পাইকগাছার আব্দুল হালিম (৫০) ও সাতক্ষীরার শেখ আব্দুল মজিদ (৬৫) নামের ২ রোগী মারা গেছেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়