খুলনার একমাত্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের বেহাল দশা
দেখার কেউ নাই, চরম ভোগান্তি
মিয়া বদরুল আলম, খানজাহানআলী
খুলনা মহানগরী খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ী গেট মিরের ডাঙ্গায় ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশের ৪টির মধ্যে একটি বিভাগীয় সংক্রামক ব্যাধি (আই.ডি) হাসপাতাল গড়ে ওঠে। হাসপাতালটি ১ম দিকে বেশ ভালই চলছিল দূর দূরন্ত থেকে রোগীরা এসে সঠিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরে যেত। ডাক্তার, নার্স এর কোন অভাব ছিল না। রোগীরা বিনা মূল্যে সরকারী ঔষধ পেত। বর্তমানে এই বিভাগীয় হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ অবস্থায় পড়ে আছে, মনে হয় যেন এর কোন অভিভাবক নাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনটি জরার্জীণ বারান্দায় কুকুর চলা ফেরা করে হাসপাতালের পিছনে পরিত্যক্ত ভবনে সন্ধ্যার পরে মাদকের জম জমাট ব্যবসা চলে এই হাসপাতালটিতে নিয়মিত তিনজন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও মাত্র ২জন ডাক্তার পাওয়া যায়, তাদেরকে সবসময় হাসপাতালে পাওয়া যায় না। সিনিয়র নাস ৬ জন থাকার কথা থাকলেও আছে ৫ জন সহকারী নার্স ৪ জন অথচ ১ জন ও নাই হাসপাতালের বাথরুমের অবস্থাএতই নোংরা যে দুর্গন্ধে বাথরুমের দরজায় পর্যন্ত যাওয়া যায়না।
আয়া একজন ও নাই, বাবুর্চি ২ জন থাকার কথা থাকলেও একজনকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে রোগীদের খাবারও দেওয়া হয় না। সিকিউরিটি নাই, পরিচ্ছন্ন কর্মী তিনজন অথচ একজনও নাই, হাসপাতাল মাঠে গরু ছাগল চরানো হয়। অথচ প্রতিদিন হাসপাতালটিতে দায় ঠেকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসে এসব রোগীদের ভোগান্তি কম হয় না।
এ ব্যাপারে ডিউটিরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১ জন সিনিয়র নার্স জানান, পূর্বে বহুবার হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে উপরীমহলে জানানো হয়েছে কিন্তুু তার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি আমরা খুব করুণ অবস্থার ভিতর ডিউটি করছি যে কোন মুহুর্তে ছাদ ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। রোগীর সাথে আসা অভিভাবকদেরও পরিচ্ছন্ন কমীর কাজ করতে হয় ঔষধ চাইলেই দোকান দেখিয়ে দেওয়া হয় অথচ হাসপাতালের সরকারী ঔষধ ঐ দোকানেই বিক্রি হয়। হাসপাতালে ফ্যান না থাকায় গরমের দিনে রোগীরা বারান্দা/ ফ্লোরে বা গাছ তলায় আশ্রয় নেয় টিটি নার্স রোগী আসলে তাকে বেড দেওয়া হয় না তাই তাকে ফ্লোরিং করে থাকতে হয়। নড়াইল, নাড়াগাতী থানা থেকে আসা বিপ্লব নামের রোগীর অভিভাবক হালিমা বেগম জানান ডাক্তার নাই, নার্স নাই হাসপাতাল পরিচর্য্যা করার কোন লোক নাই বাথরুম অপরিচ্ছন্ন এটা কী হাসপাতাল না অন্য কিছু।
সাতক্ষীরা করারোয়া থেকে আসা রোগী আঃ রশিদ এর অভিভাবক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এত অনিয়মের ভিতর দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না তাই সরকারী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।