November 28, 2024
আঞ্চলিক

খুলনায় গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর খুলনায় গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা থেকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসেন গৃহবধূ রিপা বেগম। সঙ্গে ছিল তার পাঁচ বছর বয়সী এক সন্তান। তিনি জানতেন না যে তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু তার কাছে অতিরিক্ত ৭০ টাকা দাবি করলে হতবাক হন তিনি। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার রাতে বাড়িয়ে দেওয়া হয় জ্বলানি তেলের মূল্য। ৮০ টাকার ডিজেল ১১৪ টাকা, ৮৬ টাকার পেট্রোল ১৩০ টাকা ও ৮৯ টাকার অকটেন ১৩৫ টাকায় বিক্রি করছেন পাম্প মালিকরা। রাত ১০ টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই শুরু হয় হুলস্থুল কাণ্ড।

রিপা বেগম বলেন, রোববার বাবার অসুস্থতার খবর জেনে শ্বশুর বাড়ি এসেছিলাম। ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা জানতাম না। ঝিনাইদহ থেকে খুলনায় আসার সময় ১৮০ টাকা বাস ভাড়া দিতে হয়েছিল। কিন্তু আজ যাওয়ার সময় দিতে হচ্ছে ২৫০ টাকা।

ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে গড়াই পরিবহনের টিকিট মাস্টার বলেন, তেলের দাম বেড়েছে, তাই পরিবহন ভাড়া বেড়েছে।

অপরদিকে, সোনাডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন পরিবহনের লাইনম্যান সুজিত জানান, ঢাকা যেতে ও আসতে তার ১২০ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। ৪ হাজার টাকার বেশি তেল প্রয়োজন হবে।

অপরদিকে, খুলনা থেকে পাইকগাছা রুটের ভাড়া ১০০ টাকার জায়গায় ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনিতে করোনার ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেকেই। এরই মধ্যে তেলের মূল্য বৃদ্ধি ভোগান্তি আরও বাড়াবে

 

গ্রীনলাইন পরিবহন কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা থেকে এখনও ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আজকের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোহাগ পরিববহনের কাউন্টার মাস্টার বলেন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে সকাল থেকে কয়েকটি গাড়ি খুলনা থেকে ছেড়ে গেছে।

টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের জিএম গোলাম ছামদানি সাকিব বলেন, সড়ক বিভাগ থেকে ভাড়ার ব্যাপারে কোনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আজকের জন্য এসি ও নন এসি পরিবহনে প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে আসন বাবদ ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। খুলনা বাদে অন্য রুটের ভাড়া আসন প্রতি ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া পরিবহনের যাত্রী হামিদ বলেন, দাম বাড়ার ঘোষণা দিলে বেড়ে যায় সব জিনিসের দাম। কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা দিলে তা কার্যকর হতে সময় লাগে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ভোজ্য তেলে ১৪ টাকা কম হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার ২ সপ্তাহ আগে, কিন্তু এখনও তা আগের দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রাত ১০ টার দিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে তা কার্যকর হয়ে গেলো।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *