খুলনায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন নার্সসহ দু’জন
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন দুইজন। আজ শনিবার দুপুরে খুলনা করোনা হাসপাতাল (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) থেকে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সুস্থ হওয়া রোগীরা হলেন- খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও নার্সিং সুপারভাইজার শিলা রানী দাস এবং মহানগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা কালীবাড়ি ঋষিপাড়া এলাকার রিকশাচালক বিষ্ণু হাজরা।
খুলনা করোনা হাসপাতালের আহ্বায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, পরপর দুটি নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় শিলা রানী ও বিষ্ণু হাজরাকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে এবং আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এসময় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিলা রানী দাস খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নার্সিং সুপারভাইজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে করোনা আক্রান্ত খুমেকের তিনজন শিক্ষককে সেবা করার সময় তিনিও করোনা আক্রান্ত হন। দায়িত্ব পালন শেষে সিএসএস আভা সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় উপসর্গ দেখা দিলে গত ২৮ এপ্রিল শীলা দাসের করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং পজেটিভ আসে এর পর থেকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এদিকে নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ি এলাকার রিক্সাচালক বিষ্ণু হাজরা বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর শ্বাস কষ্টে ভূগলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে চিকিৎসা নিতে আসলে উপসর্গ দেখে তার করোনা পরীক্ষা করান দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। এসময় পরদিন তারও পজেটিভ আসলে তাকেও নুরনগরে করোনা হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়।
গত ৭ এবং ৮ মে পরপর দুইদিন করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় তাদের করোনা মুক্ত সনদ দিয়ে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেয়া হয়। বিদায় কালে তাদের ফুল, ফল, ও চিকিৎসা গাইডলাইনের পাশাপাশি হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয় করোনা যুদ্ধে বিজয়ী দুইজনকে।
করোনা থেকে মুক্ত হয়ে শিলা রানী দাস জানান, হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা করতে এসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম। কিন্তু চিকিৎসকের গাইডলাইন মেনে চলেছি। ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ হয়েছি। আশাকরি খুব শিগ্রই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আবারও করোনা যুদ্ধে শামিল হতে পারবো। সবাইকে প্রয়োজন না হলে বাসায় থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সার্বিক সমন্বয়কারী ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, সদস্য সচিব ডাঃ খসরুল আলম মল্লিক, খুমেক হাসপাতাল এর পরিচালক ডাঃ মুন্সি রেজা সেকেন্দার, মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ ফরিদ আহমেদ, শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জুলকার নাইম, খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মিজানুর রহমান, ফ্লু কর্নারের মুখপাত্র ডাঃ শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।