November 22, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যৌতুক মামলা প্রত্যাহারের দাবি

দ. প্রতিবেদক
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে প্রতিহিংসামূলকভাবে যৌতুক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অবিলম্বে হয়রানিমুলক এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এরপর দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই শিক্ষকের বড় ভাই মধুসূদন স্বর্ণকার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ খুবির শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে তার স্ত্রী পূজা স্বর্ণকার এবং তার শ^শুর অলোক স্বর্ণকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে মিথ্যা অজুহাতে যৌতুক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে আদালত তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। খুবি শিক্ষকের পক্ষে ৫ লাখ টাকা যৌতুক চাওয়ার অভিযোগের প্রশ্নই ওঠে না বলে দাবি করেছেন তিনি। পূজা স্বর্ণকারের সাথে খুবি শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ফলে বিয়ে সম্পন্ন হয়। মেয়েপক্ষের চাপে পরিবারের অমতে তাকে রেজিস্ট্রি বিয়েতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে বিয়েটি পারিবারিক ও ধর্মীয়ভাবে সম্পন্ন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাধনচন্দ্র তার স্ত্রীকে নিয়ে খুলনাতে সংসার করতেন। তারপরই মেয়ের পক্ষের বিভিন্ন ধরনের লোভাতুর কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীকে পুঁজি করে অর্থ আদায়ের জন্য তাকে জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের নাটক তৈরী করে মেয়ের পরিবার।
তিনি আরও বলেন, মেয়ের আত্মীয় হাজী মালেক ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজের শারীরিক শিক্ষক বিপুল স্বর্ণকার বিভিন্ন সময়ে খুবি শিক্ষক সাধন চন্দ্রের বাসায় এসে মামলার হুমকি দিতেন। তিনিই হলেন এই মিথ্যা মামলার প্রধান কুকৌশলী। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাটি আগামী ১০ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য্য রয়েছে। এই হয়রানিমুলক মামলা দু’টি অবিলম্বে প্রত্যাহারসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যরা।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *