খুবির একাডেমিক স্থবিরতা কাটাতে ২টি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত
একাডেমিক প্রধানদের সাথে উপাচার্যের ভিডিও কনফারেন্স
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের সাথে প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী ভিডিও কনফারেন্স করে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে উদ্ভুত একাডেমিক অবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
উপাচার্য সকল স্কুলের (অনুষদ) ডিন, ডিসিপ্লিন (বিভাগ) প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকল সহকর্মী শিক্ষক, এমনকি বিভিন্ন বর্ষের শ্রেণিপ্রতিনিধি এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায়রত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে স্থবিরতা কাটিয়ে একাডেমিক অবস্থার কীভাবে উত্তরণ ঘটানো বা গতিসঞ্চার করা যায় সে ব্যাপারে মতামত গ্রহণ, পন্থা উদ্ভাবনের আহবান জানান।
তিনি বলেন বর্তমান পরিস্থিতি আরও প্রলম্বিত হলে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টির উপর জোর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখতে ভার্স্যুয়াল পদ্ধতিতে যাওয়াসহ বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন জুন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আর্থিক বছরের শেষ মাস, অপরদিকে আমাদের একাডেমিক ক্ষেত্রে বছরের ২টি টার্মের একটির সমাপ্তিরও মাস। আবার এই জুন মাসে করোনা পরিস্থিতির একটি ভবিষ্যত অভিক্ষেপ পাওয়া যেতে পারে যাতে সংক্রামণ কমবে, না বাড়বে বা কী অবস্থা দাঁড়াবে তা বোঝা যাবে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে একাডেমিক বিষয়ে সুপারিশ প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এ কে ফজলুল হককে আহবায়ক এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমনকে সদস্য-সচিব করে একটি ডিনস কমিটি এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ আনিসুর রহমানকে আহবায়ক এবং আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদারকে সদস্য-সচিব করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও তার কার্যাবলীর দিক-নির্দেশনাসহ রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আগামীকাল একটি অফিস আদেশ জারি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ, আইকিউএসির পরিচালক, সিইটিএল’র পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), আইসিটিসেলের পরিচালক, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)সহ সংশ্লিষ্ট মোট ৪১জন সংযুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে অনেকেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।