খুবি’র অবকাঠামো নির্মাণকাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনে উপাচার্যের দপ্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যলয়ের চলতি প্রকল্পের নির্মাণাধীন অবকাঠামোর অগ্রগতি পর্যালোচনা ছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পের কাজ নিয়েও আলোচনা হয়। উপাচার্য চলতি প্রকল্পের কাজে তদারকী ও ঠিকাদারের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাকী কাজ দ্রæত সম্পন্নের নির্দেশনা দেন।
চলতি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার অগেই নতুন আরও একটি বড় প্রকল্প যাতে পেশ করা যায় সে জন্য তা প্রণয়নের কাজ শুরুর বিষয়টি উল্লেখ করে সেখানে নতুন দুইটি আবাসিক হল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জায়গা সম্প্রসারণে আরও জমি অধিগ্রহণ, ফিল্ড ল্যাব, গবেষণা ল্যাবের উন্নয়ন, ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস এন্ড কোস্টাল ইকোসিস্টেম (আইআইএসএসসিই) এর জন্য পৃথক অবকাঠামো নির্মাণ অন্তভর্‚ক্ত থাকছে বলে জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্লানের কাজও চলতি মাসে চ‚ড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া মেডিকেল সেন্টার ও আইইআর ভবনের টেন্ডার আহবান সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই কার্যাদেশ প্রদান করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে গত ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রধানদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকভাবে দায়িত্বপালন করায় উপাচার্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। সভায় আসন্ন ষষ্ঠ সমাবর্তন উপলক্ষে গঠিত ২২টি উপ-কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে উপাচার্য কয়েকটি বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।
এছাড়া সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকলে এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে পর্যায়ক্রমে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সুবিধা সৃষ্টির উদ্যোগের বিষয়েও তিনি তুলে ধরেন। ডিসিপ্লিন প্রধানদের প্রতি স্ব স্ব ডিসিপ্লিনের একাডেমিক সমস্যা এবং হল প্রভোস্টদের প্রতি হলের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং যে সব বিষয়ে আশুসমাধানযোগ্য তা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পাঠ্য বইয়ের স্বল্পতা থাকলে তার তালিকা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় সকল বই ক্রয়ের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরা হয়।
সভায় সাম্প্রতিক বছরে নতুন ৮টি বাস ক্রয়ের পাশাপাশি এবছর আরও একটি নতুন বাস, কোস্টার ও মাইক্রোবাস ক্রয় হচ্ছে বলেও জানানো হয়। এর ফলে যাতায়াত সুবিধা বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য ডুমুরিয়া, ফকিরহাটের কাটাখালী এবং ফুলতলা পর্যন্ত রুট সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। এর ফলে আশপাশের জেলা-উপজেলার শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত সুবিধা পাচ্ছে। সভায় হলসমূহের ক্যান্টিনে এবং ক্যাফেটিরিয়ায় খাবারের মান যাতে ঠিক থাকে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এসময় ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষসহ বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।