November 24, 2024
শিক্ষা

খুবিতে সাব ন্যাশনাল ইয়ুথ সামিট অনুষ্ঠিত

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শনিবার সকাল ১১ টায় সাব ন্যাশনাল ইয়ুথ সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সামিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মহানগর ও সাতক্ষীরা পিসক্লাবের ৫শতাধিক তরুণ-যুব এই সামিটে যোগদান করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে এই সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, প্রযুক্তি একটি দেশের বিনির্মাণ ও উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখতে পারে তা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই আমাদের দেখিয়ে গেছেন। আর তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একান্ত তত্বাবধানে আইসিটি বিভাগ সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে তথ্য প্রযুক্তির নাম শুনলেই মনে করেন তরুনরা এর প্রভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু আমি তা মনে করি না।  কারণ অনলাইনে পড়াশোনার সহায়তা থেকে শুরু করে সবকিছুকে নিয়েই আইসিটি। তবে এর যথাযথ ও সঠিক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। আজকে দেশের একেবারে প্রান্তিক কৃষকের সাথেও যোগাযোগ রয়েছে আমাদের। তাই আমি বলতে চাই, আইসিটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করছে না বরং তা নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। আমাদের তরুণ-যুবরা আমাদের বস, ফ্রিল্যান্সাররা বস, স্টার্টআপরা আমাদের বস। আগামীর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে তথ্য প্রযুক্তিই সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হাতিয়ার।

সভাপতির বক্তব্যে খুবি উপাচার্য বলেন, বর্তমানে আমরা চতুর্থ শিল্প বিল্পবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গেলে তাই আমাদেরকে এখন দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। আমাদের দেশের ৪৭ শতাংশের বেশি তরুণ ও যুবদের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। এরাই একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ দেশ গঠনে ভুমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এটিএম জহিরউদ্দীন, খুবি’র রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, খুলনার জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার, সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান, জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিবৃন্দসহ তরুণ-যুব নেতৃবৃন্দ।

শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী যুবদের এই সামিটে তাদের গৃহীত নানা উদ্যোগের বিষয়গুলি প্রদর্শনের জন্য স্টলের ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া প্যানেল আলোচনা, তরুণদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র (অমানিশা) প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে থাকবে অবন্তী সিঁথি ও মিনার রহমানের গান এবং যুবদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *