November 24, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশিক্ষাশীর্ষ সংবাদ

খুবিতে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরে দেওয়া প্রথম বর্ষের ১৫ শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পত্রে দ্বিতীয় বর্ষের অন্যান্যদের সাথে ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে যায় যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি খুবিতে সববর্ষের ক্লাস শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনেই পরিচিত হওয়া, পরিচয় দিতে শেখানো, আদব-কায়দা শেখানো, খোঁজখবর নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে গালিগালাজসহ লাইব্রেরির ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি ও একজন নারী শিক্ষার্থীকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ এনেছেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
নির্যাতনে শিকার একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, প্রথম দিনই আমাদের মাঠে ডেকে সিনিয়ররা ম্যানার (আদব-কায়দা) শেখানোর নামে রাত আটটা পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রাখে। বিভিন্ন দোষ খুঁজে বের করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাইব্রেরির ছাদে থেকে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি মঙ্গলবার সরাসরি বাড়ি থেকে এখানে আসি এবং ক্লাস করার পর খুব ক্লান্ত হয়ে যাই। সেই অবস্থায় রাত আটটা পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকায় আমার জ্বর এসে যায়। প্রথম দিনই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে এটা কল্পনাও করিনি।
জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলা ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের শ্রেণি প্রতিনিধি (সি.আর) আসিফ মাহমুদ সোহেল বলেন, গতকাল আমরা আমাদের জুনিয়র ব্যাচের সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য বসি। এছাড়া তাদের সাথে ভলিবল খেলার জন্য মাঠে নিয়ে যাই। সেখানে তাদের সাথে র‌্যাগিং বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরবর্তী দিন তাদেরকে হাতে নাতে র‌্যাগিংরত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এসময় বাংলা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাজে বাঁধা দেবার অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক তালুকদার রাসেল মাহমুদ বলেন, খেলার মাঠে টহলরত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গেলে একজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক গিয়ে ওই শিক্ষার্থীদেরকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চাইলে ১৮ ব্যাচের মোবারক হোসেন নোমান প্রশাসনের কাজে বাঁধা দেন।
ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের বিষয়ে তিনি জানান, এই ঘটনার সাথে এটার বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *