December 22, 2024
জাতীয়

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে রাজনৈতিক বিবেচনার সুযোগ নেই : ওবায়দুল

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক মামলায় জেলে নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক কারণে সরকার যদি খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করতো, তাহলে রাজনৈতিক কারণে তাকে মুক্তি দেওয়ার প্রশ্ন আসতো। যেহেতু রাজনৈতিক কারণে এই মামলা হয়নি, সেহেতু রাজনৈতিক বিবেচনার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নবনির্বাচিত মেয়রদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, ইভিএমে ভোট জালিয়াতির কোনও সুযোগ ছিল না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। পর্যবেক্ষকরাও কিন্তু বিরূপ মন্তব্য করেননি। বিএনপি বিষোদগার করছে। কারণ, তারা হেরে গেছে। তারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তাদের আন্দোলনের হুমকি দেখে আমরা অভ্যস্ত। আন্দোলন তারা করুক। কিন্তু আন্দোলন করছে কার বিরুদ্ধে? খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তো এই সরকার মামলা করেনি। তত্ত¡াবধায়ক সরকার মামলা করেছিল। এটা রাজনৈতিক মামলা নয়। রাজনৈতিক কারণে সরকার যদি খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করতো, তাহলে রাজনৈতিক কারণে তাকে মুক্তি দেওয়ার প্রশ্ন আসতো। যেহেতু রাজনৈতিক কারণে এই মামলা হয়নি, সেহেতু রাজনৈতিক বিবেচনার সুযোগ নেই।

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। কোনও আন্দোলন যদি রাজনৈতিক হয়, আমরা সেটা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবো। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতা হয়, আমরা দাঁতভাঙ্গা, জবাব দেবো। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া সরকারের সহনশীলতার পরিচয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সহনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। বিরোধীদের সমাবেশ করার অধিকার আছে। সভা সমাবেশে বাধা-নিষেধ শেখ হাসিনার সরকার কখনও করেনি, করবেও না। ১৫ ফেব্রæয়ারি সারাদেশে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ কোনও সমাবেশে আমরা বাধা দেবো না। যদি সহিংসতা হয়, তাহলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

এর আগে ঢাকার দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগরীর সংসদ সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দেওয়ার পর তাদের পরবর্তী কাজ হবে তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠন গড়ে তোলা। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের আন্দোলন ঠেকানোর জন্য আমাদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করা দরকার। দলের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র সেটা প্রতিরোধ করতে হলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখান থেকে কিছু সিদ্ধান্ত আমরা কার্যনির্বাহী সভায় পাঠাবো।

ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার কম আসা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অনেকে ছুটির কারণে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিবহনের একটি বিষয় আছে। আর আমাদের সংগঠনের দুর্বলতাও আছে। ভোটার নিয়ে আসার বিষয়ে যতটা গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিল তা দেওয়া হয়নি। সবাই ভাবছে ভোটার তো আসবেই। ভোটারদের যে নিয়ে আসতে হবে সেখানে কিছুটা কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *