খালেদার মুক্তির বিষয়ে কোনো শর্ত নেই : তথ্যমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন এমন কোনো শর্ত নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে গিয়েছেন, নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের যারা নির্বাচিত করেছেন সংসদে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে কথা বলার জন্যই নির্বাচিত করেছেন। তাদের জনগণ নির্বাচিত করেছে সংসদে শপথ নেওয়ার জন্যই।
‘শপথ নেওয়া তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি মনে করি তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এতে বিএনপিরই মঙ্গল হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন এমন কোনো শর্ত নেই।’ রূপসী বাংলা জাতীয় ফটো প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা ও সম্মান প্রদানের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া জেলে রয়েছেন। তাকে মুক্ত করার একমাত্র পথ আদালত। যদি আদালত তাকে জামিন দেয় তাহলে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। আর প্যারোলের বিষয়টি যিনি বন্দি তিনি যদি চান তবে সরকারের সেটি বিবেচনার সুযোগ থাকে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস-এর প্রকাশিত এক জরিপে বাংলাদেশে সাংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক চার ধাপ নিচে নেমে গিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।’
চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা প্রমুখ।
পরে তথ্যমন্ত্রী তিন জন প্রবীণ ফটো সাংবাদিকের (মরণোত্তর) পরিবারের সদস্যদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। তারা হলেন-এস এম মোজ্জাম্মেল হোসেন, মোশাররফ হোসেন লাল ও জহিরুল হক। এছাড়া বিশেষ জুড়িবোর্ড অ্যাওয়ার্ড পান-শরীফ সারোয়ার। বিশেষ পুরস্কার পান-আসিফ মাহমুদ অভি, আল আমিন লিয়ন, শফিকুল আলম ও মামুনুর রশিদ।