খালিশপুরে স্কুলছাত্র পাচার মামলার প্রধান আসামী বেবী গ্রেফতার
দ: প্রতিবেদক
পাচার হওয়ার পাঁচ মাসেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি খালিশপুরের শিশু রাব্বানীকে (১০)। গত ২১ সেপ্টেম্বর’১৮ সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মামলার প্রধান আসামী বেবী আক্তার (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর মুজগুন্নী কাজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে খালিশপুর ওয়ান্ডার ল্যান্ড শিশু পার্কের বিপরীতে জমিদার বাড়ির লাকির বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ ইকবালের স্ত্রী। এ নিয়ে মানব পাচার মামলায় পুলিশ দু’জন এজাহারনামীয় আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই আব্দুল মান্নান।
তিনি জানান, প্রথম অভয়নগর এলাকা থেকে এজাহারনামীয় আসামী জোসনা বেগম (৪০)কে গ্রেফতার করা হয়। সে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। সে অভয়নগর উপজেলার বইককাড়া গ্রামের জগভবনের মোড় আল হেরা স্কুলের পাশের বাসিন্দা আলম ভূইয়ার স্ত্রী। এ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথকভাবে গতকাল রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও পাচারে শিকার স্কুল ছাত্রটিকে উদ্ধার কার সম্ভব হয়নি।
ভিকটিমের বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোসলেম শেখ জানান, তিনি খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক সংলগ্ন জমিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া। পেশায় রিক্সাচালক। গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহরমের দিন যশোরের উদ্দেশ্যে তার ছেলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। মহরম শেষে সকলে যশোর থেকে বাসায় ফিরে এলেও রাব্বানী ফিরে আসেনি। মোসলেম শেখ তার ছেলের খোঁজে সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ করে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় তিনি খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তিনি এ ঘটনায় পাচার মামলা দায়ের করেন। আসামী করেন বেবী, সিমা, আনিছ, আক্কাস ও জোসনা বেগম নামের পাঁচজনকে।