খানজাহান আলী মাজার দিঘিতে ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপ অবমুক্ত
দ. প্রতিবেদক
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার দিগরাজ থেকে উদ্ধার ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপ খানজাহান আলী মাজারের দিঘিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এই কচ্ছপগুলো পানিতে ছেড়ে দেন।
খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার থেকে ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপসহ এক জনকে আটক করা হয় এবং তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করা হয়।
বিভিন্ন ধরণের প্রাণী পাচার ও শিকার রোধে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ই আমরা কচ্ছপ, অতিথি পাখি এবং বিলুপ্ত প্রায় নানা প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার করছি এবং এগুলো আবার প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে কাজ করছি। এই ধারাবাহিকতায় উদ্ধার কচ্ছপগুলোকে নিরাপদে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খানজাহান আলীর মাজার দিঘিতে ৭৩টি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হলো বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, খানজাহান আলী মাজারে অবমুক্ত করা এই সুন্ধি কচ্ছপগুলো এক সময় খাল, বিল ও পুকুরসহ নানা জলাশয়ে দেখা যেত। কিন্তু মানুষের নির্বিচারে শিকারের কারণে এই প্রজাতিটি আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এর আগে গত জানুয়ারিতে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ৫২টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার করে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ সমজিদের ঘোড়া দিঘিতে অবমুক্ত করেছিল।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার বিকেলে কোটগার্ড ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ জেলার দিগরাজ বাজার থেকে ৭৩টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার করে। দুষ্কৃতিরাকারীরা এই কচ্ছপগুলো শিকার করে বাজারে বিক্রি করছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্তকে সাজা দিয়েছে।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী বন্যপ্রাণীকে তাদের স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতিতে বিচরণ করার সুযোগ দিতে হবে। এগুলোকে কোনোভাবেই শিকার করা যাবে না বা বিক্রয় করা যাবে না।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়