খাগড়াছড়িতে রাজার বিয়ে সম্পন্ন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
খাগড়াছড়ি জেলার মং সার্কেল প্রধান বা রাজার রাজকীয় বিয়ের পর্ব দুই দিনের উৎসবমুখর আনুষ্ঠানিকতায় শেষ হয়েছে। বর সাচিং প্রু চৌধুরী। বৃটিশ প্রবর্তিত পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্কেল প্রধান বা রাজা প্রথা হিসেবে উত্তরাধিকার সূত্রে অধিষ্ঠিত তিন রাজার মধ্যে সবচেয়ে ছোট।
রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী বিয়ে করেছেন নিজের শহর খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়ার পূর্ব পরিচিত পছন্দের পাত্রী উখেংচিং মারমাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ধর্মীয় নানা আবশ্যকীয় ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমে শুরু হয়ে শুক্রবার ভোর রাতেও চলে তার ধারাবাহিকতা।
প্রথা অনুযায়ী রাজ পরিবারের বিয়ের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রজা ও সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গদের সামনে বর কনের যৌথ উপস্থিতি এবং রাজ আপ্যায়ন।
শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের অদূরে মং রাজ বাড়িতে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের আপ্যায়নের মাধ্যমে সেটি শেষ হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে অগণিত মানুষের পদচারণায় রীতিমতো মানুষের মহা সম্মেলনের রূপ ধারণ করে। বিয়ের পরপর উখেংচিংকে রাণী হিসেবে বরণ করা হয়। রাণী উখেংচিং মারমা পানখাইয়া পাড়া এলাকার অংক্যজাই মারমা ও সুইনাইচিং মারমার মেয়ে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। আমেরিকার মিনেসোটা ইউনিভার্সিটি থেকে ফেলোশিপ শেষে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন।
শুক্রবার রাজা সাচিং প্রু চৌধুরীর এই বিয়েতে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটির এমপি দীপংকর তালুকদার, নারী সাংসদ বাসন্তী চাকমা, সাবেক সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সচিব সুদত্ত বিকাশ চাকমাসহ তিন পার্বত্য জেলার সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরাও সাড়ম্বরে যোগ দেন।