খবরের সন্ধানে বেরিয়ে ভারতে করোনায় আক্রান্ত ৮১ সাংবাদিক
পেশার তাগিদে খবরের সন্ধানে নামতে বাধ্য হচ্ছেন সাংবাদিকরা। যেতে হচ্ছে নানা জায়গায়। যথাযথ নিয়ম মানার পরও রক্ষা মিলছে না কোভিড-১৯ মহামারির ছোবল থেকে। গত কয়েকদিন ধরে ভারতে করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। গত সোমবার (২০ এপ্রিল) মহারাষ্ট্রে ৫৮ জন সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের মোট ১৭১ সাংবাদিকের করোনা টেস্ট করা হয়। তাতে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ। সুখবর হলো, আক্রান্ত সাংবাদিকদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল মু্ম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে শহরের ১৭১ জন সংবাদপত্র এবং চ্যানেলের সাংবাদিকের করোনা পরীক্ষার আয়োজন করেছিল মুম্বাই পুরসভা। তারমধ্যে ৫৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
মুম্বাইয়ের পর চেন্নাইতেও সাংবাদিকদের গ্রাস করছে কোভিড-১৯। একটি তামিল সংবাদ চ্যানেলের ২৫ জন সাংবাদিক কোভিড-১৯ আক্রান্ত বলে জানা গেছে। ওই চ্যানেলের ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারমধ্যে ২৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে দিল্লির সাংবাদিকদের করোনা পরীক্ষা করার কথা ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এরপরই অস্বাভাবিকভাবে মারা গেলেনে কলকাতার পত্রিকার এক চিত্র সাংবাদিক রণজয় রায়। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা করার সুযোগ পর্যন্ত মেলেনি। তার আগেই মৃত্যু হয় রণজয়ের। সূত্র মারফত পরিবারের একজনকে পিপিই পড়িয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী ডেডবডিও পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। সরকারি মতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
একজন করোনা রোগীর যা যা সিমটম থাকে তা রণির মধ্যে সবই পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। অবশ্য টেস্টের রিপোর্ট না আসা অবধি নিশ্চিত হওয়া যাবে না রোগীটি করোনা আক্রান্ত ছিল কি-না! রিপোর্ট এলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৫ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১০৩ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়া ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হজার ৫৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৮০ জনের।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বাংলাদেশেও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।