কয়েকদিন বেড়ে ফের কমবে তাপমাত্রা
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারা আগামী তিন-চার দিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার কমবে। তবে তা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার (শৈত্যপ্রবাহ) সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শীত অনেকটা কমে দখিনা বাতাস বইতে শুরু করলেও শীত বয়ে আনা উত্তরের বাতাস এখনও বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেয়নি। শীত পুরো বিদায় নিতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একদিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে তা বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি।
বৃহস্পতিবার ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম মাস ফাল্গুনের ৫ তারিখ। যদিও ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী, শীত বিদায় নিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শীত এখনও বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি চলে যায়নি। এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে দু-একদিন দখিনা বাতাসও বইছে, কিন্তু এটি কন্টিনিউয়াস না। তবে এখনও উত্তরের বাতাসও বেশি। এমন একটা কম্বিনেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মার্চের দিকে হয়তো শীতের উত্তরের বাতাসটা পুরোপুরি বিদায় নেবে।
তিনি বলেন, ‘শীত আর নতুন করে সেভাবে আসার সম্ভাবনা নেই। তবে তাপমাত্রা একটু হয়তো কমতে পারে। মেঘ থাকার কারণে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। মেঘটা কেটে গেলে আরও দু-তিনদিন পর তাপমাত্রা হয়তো একটু কমে যাবে, তবে তা কোনোভাবেই ১০ ডিগ্রির নিচে নামবে না। ২১, ২২, ২৩ ফেব্রুয়ারির দিকে তাপমাত্রা হয়তো কমবে।’
ঢাকা ও যশোর অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে আরিফ হোসেন বলেন, ‘আপাতত আর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময়ে সারাদেশের রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে ৩৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি থাকলেও একদিনের ব্যবধানে তা হয়েছে ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।