November 24, 2024
আঞ্চলিক

  কয়রায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা দ্রুত নির্মাণের নির্দেশ এমপি’র

কয়রা প্রতিনিধি

কয়রায় দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থদের স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা বেহালদশার সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকা ও সৌশ্যাল মিডিয়ায় জানার পর তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু।

তিনি  পাশ্ববর্তি প্রতিবেশি দেশ ভারতে অবস্থান করেও কয়রা উপজেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু ছাত্র ছাত্রীরা কাঁদা পানির রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছেন, এমন ছবি দেখার পর রাস্তা দুটি দ্রæত সংস্কারের জন্য কতৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। জান গেছে উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বায়লারহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে ৩শ ফুট রাস্তা কাচা থাকায় কাঁদা পানির মধ্য দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের বায়লাহারানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী কলাপোতা গ্রামের সিংয়ের খাল কালভার্ট হতে বামিয়া সরকারি পুকুর পাড় অভিমুখে কাচা রাস্তাটি বৃষ্টি হলেই যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে কাঁদা পানির মধ্যে বায়লাহরানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বই খাতা নিয়ে অত্যান্ত ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে হয়। বিষয়টি মঙ্গলবার এমপি মহাদ্বয় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের অবগত করলে বুধবার সরেজমিনে রাস্তা দুটিতে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী দেখা যায়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এলাকার শিশু ছাত্র ছাত্রীদের এ ধরনের চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয় বিষয়টি জানা ছিল না। তিনি বলেন, বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানার পর রাস্তা দুটি দ্রæত সংস্কারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সহ উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ সাত্তার সানা ও রবিউল ইসলাম সানা সাংবাদিকদের জানান, বর্ষা মৌসুমের আগেই স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরকে জানানো সত্বেও সামান্য এই রাস্তাটুকু পাকা না করায় গত কয়েক মাস ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাঁদা পানির মধ্যে দিয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে। তবে সংসদ সদস্যর আশ্বাসে দ্রæত রাস্তা নির্মাণ হবে এমন খবর জানার পর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ স্থানীয় এলাকাবাসি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *