কয়রায় মৎস্য ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
কয়রা প্রতিনিধি
কয়রার সুন্দরবনের মৎস্য ব্যবসায়ী কামরুলের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। কয়রা উপজেলার লোকা গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানায়, সম্প্রতি সাতক্ষীরার স্থানীয় ১টি পত্রিকায় কয়রার কামরুল ইসলাম ও রজব কলুই এর মদদে চলছে সুন্দবনের জোনাব বাহিনী এ সংক্রান্ত এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ঐ সংবাদে আমাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয় সে কাজে আমরা কোন দিনও সম্পৃক্তা ছিলাম না। তার পরেও আবারও ঐ পত্রিকায় মুক্তি মেলেনী মান্নানের, আবু সালেহকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করছে সুন্দরবনের মৎস্য ব্যবসায়ী কামরুল ও রজব আলীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে আরেকটি সংবাদ প্রকাশ করে। এতে আমাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে ক্ষতি সাধন করতে এ ধরনের চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে এ কাজটি করেছে। ঐ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গেলে তারালী গ্রামের এক জেলেকে অপহরন করেছে জোনাব বাহিনী পরিচয়ে একদল বনদস্যু। জোনাব বাহিনীর সেকেন্ডে ইন কমান্ড কয়রার এবাদাতের নেতৃত্বে এসব জেলেদের অপহরন করা হয়েছে। আর এর সহযোগিতায় রয়েছে কয়রার মৎস্য ব্যবসায়ী কামরুল ও রজব আলী। তারা কখনও ঐ নামের কোন লোককে চেনেনা। এছাড়া আরও প্রকাশ করা হয়েছে সুন্দরবনে কামরুল ও রজব আলীর বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য ব্যবসা রয়েছে তাদের জেলে ছাড়া অন্য জেলেদের মাছ ধরতে না দেওয়ায় তারা বনদস্যুদের দিয়ে সাধারন জেলেদের হয়রানী করছে। আমার নেতৃত্বে ২ শ নৌকা চলে এমন অভিযোগ শুধু কাল্পনিক ও মনগড়া। ১০/১২ টি নৌকা নিয়ে আমি আমার ব্যবসা পরিচালনা করে থাকি। আমি দিঘদিন সুন্দরবনে অতি সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা আসছি। আমার বিরুদ্ধে বনদস্যুদের সাথে সম্পৃক্ততার কোন অভিযোগ কোন দিনও ছিলনা আজও নেই। তাদের দাবি বুড়িগোয়ালীনি এলাকার জৈনক এক ব্যাক্তি আইন শৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে অনেক নিরহ মানুষকে হয়রানী করছে। সে আমাদের কাছে অনৈতিক সুবিধা আদায় করার প্রস্তাব দিলে আমরা তাতে সাড়া না দেওয়ায় উক্ত ব্যাক্তি আমাদেরকে হয়রানী করতে ও সামাজিকভাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রদান করে তাদের ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ। বর্তমান সুন্দরবন দস্যু মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। তার পরেও বনদস্যুদের সাথে আমাদের জড়িয়ে যে সকল অভিযোগ করছে তা সঠিক না। এ সকল বিষয় সঠিক তদন্ত করলে সকল রহস্য উৎঘাটন হবে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কামরুল ইসলাম এ সকল ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।