কয়রায় দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও হামলা ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মারধোর
বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলা
দ: প্রতিবেদক
খুলনা জেলার কয়রায় উপজেলা ছাত্রলীগের নয়া কমিটির সভাপতি টিংকুর নির্দেশে তার দুলাভাই বিএনপি নেতা কাজলের নেতৃত্বে উত্তর বেদাকাশী ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মারধোরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেননি বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকুর বহিষ্কারের দাবীতে গতকাল সোমবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় তারা উত্তর বেদাকাশী ইউনিয়নের অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো। এসময় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নয়া কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু দুলাভাই কয়রা থানা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ কাজলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অর্তকিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে উপস্থিত উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আশিকুজ্জামান রাহাত, যুগ্ম-আহবায়ক শাহিন, সদস্য ইমরান ও আমি যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়রা উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আশিকুজ্জামান রাহাতকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপরই বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। হামলায় ছাত্রলীগের কার্যালয়টিতে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে এ ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে আহত নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, কয়রা থানার নব্য সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজাওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সাথে ছবি তুলে তা এলাকায় দেখিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজী শুরু করেছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ৮৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার এসব কর্মকান্ডে কয়রার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা তার বিপক্ষে অভিযোগও দিয়েছেন। এছাড়া ছাত্র না হয়েও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ায় এলাকায় বির্তকের জন্ম দিয়েছে। এ পর্যন্ত শরিফুল ইসলাম টিংকুর নামে থানায় ৮টি জিডি হয়েছে। কাজেই এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের কাছে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ নিরাপদ নয়। তারা শরিফুল ইসলাম টিংকুর বহিস্কারসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।