কয়রায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাউবোর সাথে এমপি’র জরুরী বৈঠক
কয়রা প্রতিনিধি
উপকুলীয় জনপদ খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে জরুরী বৈঠক করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জরুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাউবোর তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী খুলনা পওর সার্কেল-২ মোঃ আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান, খুলনা পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, পাইকগাছা ও কয়রার পাউবোর উপ সহকারি প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন,মসিউর রহমান, উপজেলা চেয়াম্যান আখম তমিজ উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আঃ রশিদ, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ তারক বিশ্বাস সহ কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু নির্বাচিত হওয়ার পর তার নির্বাচনী ওয়াদা পুরনের লক্ষে পাউবোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সংসদ সদস্য বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর কয়রায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে প্রধানমন্ত্রী, পানি সম্পদমন্ত্রী সহ পাউবোর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে ২২ ফেব্রæয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমান পাইকগাছার আলমতলায় সর্ব প্রথম নিজ হাতে বেড়িবাঁধ নির্মান কাজের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে দীর্ঘ কয়েক যুগের মধ্যে টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করায় কয়রার সহজ সরল মানুষগুলোকে বারবার লবন পানিতে ভাসতে হচ্ছে। এ জন্য পাউবোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেখানে বেড়িবাাঁধ নাজুক অবস্থা সেগুলো চিহ্নিত করুন এবং দ্রæত ব্যবস্থা নিন। কয়রার দুঃখী মানুষগুলো আজ থেকে আর যেন লবন পানিতে না ভাসে, সে জন্য জরুরী পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি আহবান জানান। সংসদ সদস্য আক্ষেপ করে বলেন, রাতে আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে, কারণ কখন ফোন আসে কয়রায় কোন জায়গা ভেঙ্গে গেছে। আগামী জুনের বাজেট পর্যন্ত পাউবো কর্তৃপক্ষকে বাঁধ টিকিয়ে রাখার কথা বলে তিনি সকল কে অবহিত করেন যে সামনের বাজেটে বড় ধরনের অর্থ পাওয়া যাবে সেই অর্থ দিয়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ বলেন বেড়িবাঁধের কাজের সময়, কাজের ধরণ, অর্থের পরিমান সহ সব কিছু উল্লেখ করে সাইনবোর্ড দেওয়ার। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সার্বক্ষনিক বেড়িবাঁধের খবর নিয়ে ভাঙার আগেই কাজ করতে হবে এবং ঠিকাদার কোন দ্বিতীয় ব্যক্তিকে দিয়ে যেন কাজ না করায় সে দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।