কয়রায় জোরপূর্বক চিংড়ির ঘের দখল ও মারধোর করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কয়রা প্রতিনিধি
কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের বাসিন্দা আছাদুজ্জামান বুলবুলের চিংড়ি ঘের জোরপুর্বক দখল করে নেওয়া ও তাকে বেধড়ক মারপিঠ করে আহত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (ডলি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালী গ্রামের মৃত হামিদ গাজীর পুত্র তায়জুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক গত ৬ জুন আমার স্বামী বুলবুলের মৎস্য ঘেরটি জোরপুর্বক জোর করে দখল করে নেয়। এতে তিনি বাধা দিলে তাকে বেধড়ক মারপিঠ করে আহত করে। সেই থেকে তিনি প্রথমে খুলনায় এবং পরবর্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য বাহিরে থাকার সুযোগ বুঝে ঐ তায়জুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় লোকজন গত ১৪ জুলাই আমাদের ৪২ বিঘার মৎস্য ঘেরে এসে ঘেরের কর্মচারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। সেই থেকে আমরা চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। আমি বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। অবশেষে তায়জুল গংরা গত ১৫ জুলাই রাত্রে আমাদের ঘেরে প্রবেশ করে বিষটোপ ব্যবহার করে ঘেরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ জোর করে মেরে নিয়ে যায়। সকালে ঘেরের কর্মচারীরা দেখতে পায় অনেক মাছ ভেসে আছে। যা ব্যবহারের উপযোগী নয়। আমি সেই মাছ নিয়ে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ উপজেলা চেয়ারম্যনকে দেখায়। তায়জুল ইসলাম দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক হওয়ায় আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছিনা। তায়জুল পুলিশ হত্যা মামলা আসামী। আমার স্বামী বুলবুল সব সময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সক্রীয় ১ জন সৈনিক। তার পরেও আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তায়জুলের নির্যাতন ও অত্যাচারে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিত কামনা করছি।