কয়রায় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পেলেন আমজেদ
কয়রা প্রতিনিধি
অনেক দিন পর বন্ধকী জমি ফেরত পেলেন কয়রার আমজেদ গাজী। অভাব অনাটনের সংসারে কোন রকম কিছু অর্থ জোগাড় করে ৬৬ শতক জমি বন্ধক রাখে। অর্থ নেওয়ার পরেও জমি বুঝে না দিয়ে নানান টালবাহানা করতে থাকে বাবুরাবাদ গ্রামের সাইফুল গাজী। অবশেষে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বন্ধকী জমি কাছে পেয়েছে কয়রা উপজেলার চৌকুনী গ্রামের শামছুর গাজীর পুত্র আমজেদ গাজী। হয়রানি আর আর্থিক অনটনের কারণে কোথাও মামলা করতে পারেনি। পরে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিচার চায় সে।
গ্রাম আদালতে অভিযোগটির নিষ্পত্তি হয়। কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে গত ১৪ এপ্রিল অভিযোগের নিষ্পত্তি করে রায় প্রদন করেন। এই গ্রাম আদালতে আমজাদের মতো শত শত অসহায় মানুষের অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এতে আদালতে বা থানায় মামলা কমছে। তবে কয়রার গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলে বিচারিক আদালতের আদলে। এই গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। চেয়ারম্যান হলেন বিচারক, সচিব পেশকার, পিয়ন তামিলকারক, একজন মেম্বার ও এলাকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মিলে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার চৌকুনী গ্রামের শামছুর গাজীর পুত্র আমাজেদ গাজী বন্ধকী জমি না পাওয়ার অভিযোগে একই ইউনিয়নের বাবুরাবাদ গ্রামের শরিফুল গাজীর পুত্র সাইফুলসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যার নং-১৭/১৯। শুনানী শেষে গত ১৪ এপ্রিল প্রাক বিচারের মাধ্যমে আগে দেওয়া ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধকী জমি চাষ করতে পারবে বলে রায় প্রদান করেন। রায় পাওয়ায় আমজেদসহ এলাকাবাসি বেশ খুশি।
গ্রাম আদালতের সহকারি ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সুরাইয়া খাতুন বলেন, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের কথা জানতে পেরে সে মামলা করে। যার ফলে সে ন্যায় বিচার পেয়েছে।