কয়রার গোলখালীতে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ
স্থান পরিদর্শন করলেন সংসদ সদস্য ও সচিব
দ. প্রতিবেদক
সুন্দরবনের কোলঘেষা খুলনার কয়রা উপজেলার গোলখালীতে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সম্ভাব্য স্থান শিংয়ের চরসহ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক।
পরিদর্শনকালে সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান এমপি বাবু বলেন, আমাদের ছোট্ট এ দেশে হয়ত কোনো সোনা, রূপা কিংবা হীরার খনি নেই। কিন্তু রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন তার, মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। এই সুন্দরবনকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশ স্বমহিমায় উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে। কয়রা গোলখালীতে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে সহয়ক হিসাবে কাজ করবে কয়রা পর্যটন কেন্দ্র। যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার মাধ্যমে অচিরেই কয়রায় একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বলেন, পর্যটন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কয়রা উপজেলার গোলখালীতে সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি আরও বলেন, কয়রার গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের সুনজর আছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মাস্টারপ্লান কাজও শুরু করেছে। মাস্টারপ্লান চ‚ড়ান্ত হওয়ার পর তার বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
স্থান পরিদর্শনকালে তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা, সহকারী কমিশনার নুরে-ই আলম সিদ্দিকী, জেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানী, আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, প্রভাষক নজরুল ইসলাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা।