ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আজারবাইজানে ২১ জনের মৃত্যু
বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে। আজারবাইজান অভিযোগ করেছে, আর্মেনিয়া থেকে হামলা চালানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
তবে বুধবারের ওই হামলার কথা অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া। দু’দেশের মধ্যে দ্বিতীয়বার হামলা চালানো হয়েছে। আজারবাইজান বলছে, বার্দা জেলায় হামলায় বহু বেসামরিক হতাহত হয়েছে।
সম্প্রতি আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ফলে দু’পক্ষেরই বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। দুই দেশ এর আগে তিনবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তা ভেস্তে গেছে।
আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু ১৯৯০ এর দশকে সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আর্মেনিয়া। দখলীকৃত এলাকা থেকে বহু আজারি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার রিয়া নভোস্তি নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগোরনো-কারাবাখের সঙ্গে আর্মেনিয়া সীমান্তে রাশিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের খবর নিশ্চিত করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান।
তিনি বলেন, এটা বিশেষ কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান বলেন, আর্মেনিয়ার সীমান্তে তুরস্ক এবং ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। আর্মেনিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে রাশিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে।
আজারবাইজান বলছে, আর্মেনিয়া বাহিনী বার্দায় স্মার্চ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, একটি জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২১ বেসামরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ৭০ জন।
প্রায় এক মাস ধরে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছে দেশ দুটি। প্রথম থেকেই দুই দেশকে শান্তি বৈঠকে বসানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। দুইবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে উভয় পক্ষ রাজি হলেও তা কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা লঙ্ঘন করেছে দুই দেশ।
গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে নাগোরনো-কারাবাখে সংঘাত শুরু হয়। নাগোরনো-কারাবাখের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, ওই অঞ্চলে লড়াইয়ে ১ হাজার ৬৮ সামরিক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তবে আজারবাইজান দেশটির সামরিক বাহিনীর হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রাশিয়া জানিয়েছে, দু’পক্ষে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ হাজার নিহত হয়েছে।