ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি ৫ মামলায় আসামি ২২
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নথিপত্র জালিয়াতি করে জনতা ব্যাংক থেকে ক্রিসেন্ট গ্র“পের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নামে এক হাজার ৭৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ২২ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার ঢাকার চকবাজার থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, মামলায় ক্রিসেন্ট গ্র“পের চেয়ারম্যান এম এ কাদের এবং তার ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার মালিক ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিডেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ ওই সব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং ব্যাংকটির ১৩ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
ক্রিসেন্ট গ্র“পের চেয়ারম্যান কাদের ও আজিজ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রূপালি কম্পোজিট লেদার লিমিটেডের পরিচালক সামিয়া কাদের নদী, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের পরিচালক সুলতানা বেগম, পরিচালক রেজিয়া বেগম, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুন জাহান মীরা ও লেক্সকো লিমিটেডের পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ।
জনতা ব্যাংকের আসামিরা হলেন- ব্যাংকটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুলাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী, মো. খায়রুল আমিন, বাহারুল আলম, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, এস এম শরীফুল ইসলাম, ডিজিএম (বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি) মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবাল, একেএম আসাদুজ্জামান, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মো. জাকির হোসেন ও ডিমডি ফখরুল আলম।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা রপ্তানি না করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নথিপত্র দেখিয়ে রপ্তানি ঋণ সুবিধা নিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ ওই অর্থ জনতা ব্যাংক থেকে তুলে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করে।
ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্ট লিমিটেডের নামে ৫০০ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৯ টাকা, ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের নামে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা, লেসকো লিমিটেডের নামে ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৯ টাকা, রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেডের নামে ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা ও রিমেক্স ফুটওয়ার লিমিটেডের নামে ৬৪৮ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৭ টাকা জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখা থেকে তুলে আত্মসাত করা হয় বলে মামলাগুলোতে অভিযোগ করা হয়। ক্রিসেন্ট গ্র“পের নামে ৯১৯ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এনবিআরের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন এম এ কাদের।