ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ শাহাদাত
জাতীয় দলের দরজাটা তার জন্য দূরের বাতিঘর হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে শাহাদাত হোসেন খেলছিলেন নিয়মিত। ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার এতদিন মাঠের বাইরে অপকর্মে জড়িত থাকলেও এবার সতীর্থকে মাঠে পিটিয়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন। তবে এর মধ্যে দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।পাশাপাশি তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এই পেসারকে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শাহাদাতের শাস্তির ব্যাপারটি নিশ্চিত করে। শাহাদাত অবশ্য আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে চলমান জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থকে মারধর করে আলোচনায় আসেন ঢাকা বিভাগের এই পেসার।
লর্ডসের অনার্স বোর্ডে বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শাহাদাতের নামটা এখনও সকলের চোখে ভাসে। কিন্তু, একের পর এক বিতর্কিত কাণ্ডে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই পেসার। তার আগ্রাসী মানসিকতা নতুন কিছু নয়। কদিন আগে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন শাহাদাত। তার আগে গৃহকর্মীর গায়ে হাত তুলে হাজতবাস করেছিলেন শাহাদাত।
খুলনায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের মধ্যকার জাতীয় লিগের ম্যাচে সতীর্থ আরাফাত সানিকে (জুনিয়র) মাঠে পেটান শাহাদাত। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এই কাণ্ডে শাহাতাদকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, শাহাদাত বলের একটি অংশে শাইন দিতে সানিকে নির্দেশ দেন। সানি তাতে অনীহা প্রকাশ করলে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাহাদাত। এ সময় তিনি সানিকে চড়-থাপ্পড়-লাথি মারেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সতীর্থ এবং আম্পায়াররা এগিয়ে আসেন।
ষষ্ঠ রাউন্ডের এই ম্যাচের তৃতীয় দিন খুলনার বিপক্ষে ১০ জন নিয়ে খেলতে হচ্ছে ঢাকা বিভাগকে। চলমান ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় শাহাদাতকে। গতকাল ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তার প্রতিবেদনে শাহাদাতের অপরাধকে ‘লেভেল-৪’ বলে উল্লেখ করেন।
নিয়মানুযায়ী এই অপরাধের শাস্তি সর্বনিম্ন এক বছর থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া, ম্যাচ ফি’র পুরোটা জরিমানা করা হয়েছে। ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদনটি টেকনিক্যাল কমিটি প্রধান মিনহাজুল আবেদীনের হাতে পৌঁছায়।