December 22, 2024
জাতীয়

ক্যাসিনোকাণ্ড: শেখ মারুফকে দুদকে তলব

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

ক্যাসিনোর কারবার করে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, রবিবার দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে শেখ মারুফকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে আগামী ৭ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মারুফকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

অভিযোগের বিষয়ে নোটিসে বলা হয়, ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারী কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।

দুদক বলেছে, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে শেখ মারুফের কোনো ‘বক্তব্য নেই’ বলে ধরে নেওয়া হবে। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় অবৈধভাবে চালানো ক্যাসিনো বন্ধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান শুরু হলে এ কারবারে যুবলীগের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে।

ওই অভিযানের মধ্যেই নিজের অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ গ্রেপ্তার হন যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে আসা জিকে শামীম। অনলাইন ক্যাসিনোর কারাবারে সম্পৃক্ততায় গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান, যিনি ‘প্রধান গ্রæপ’ নামে একটি ব্যবসায়ী গ্রæপের চেয়ারম্যান।

এই গ্রæপের কোম্পানি পি২৪ গেইমিং রীতিমত ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর কারবার চালিয়ে আসছিল। পি-টোয়েন্টিফোর গেইমিং ছাড়াও পি-টোয়েন্টিফোর ল ফার্ম লিমিটেডে সেলিম প্রধানের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে রয়েছেন শেখ ফজলুর রহমান মারুফ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২১ অক্টোবর মারুফ ও তার স্ত্রী সানজিদা রহমানের পাশাপাশি পি-টোয়েন্টিফোর গেইমিং কোম্পানি লিমিটেড ও পি-টোয়েন্টিফোর ল ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।

ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানে নামে দুদক। মোট ১৮৭ জনের তালিকা ধরে ওই অনুসন্ধান চলছে বলে স¤প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *