কোয়ারেন্টিনে পাঠানো আরেকজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত
গাজীপুরের মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন থেকে ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো ইতালিফেরত একজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মেঘডুবি মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে থাকা মোট আটজনকে দুই দফায় উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
“তাদের জ্বর ছিল। পরীক্ষা করে একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে।”
জেলার সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইতালি ফেরত মোট ৪৪ জনকে গত ১৪ মার্চ রাতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে আটজনকে ঢাকায় পাঠানোয় পর মেঘডুবিতে এখন ৩৬ জন আছেন।
“ঢাকায় পাঠানো একজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসায় আমরা বাকি যারা আছেন, তাদের আত্মীয়-স্বজনকে ডেকেছি। তাদের আমরা বলেছি, আপনারা ধৈর্য্য ধরেন, আপনারা শান্ত হন, আমাদের সহযোগিতা করেন।”
নতুন একজনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কারও বক্তব্য জানা যায়নি।
এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট ১১ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল, যাদের মধ্যে প্রথম দফায় আক্রান্ত তিনজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন; হাসপাতালে ভর্তি আছেন আটজন।
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে তিনজন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় আইইডিসিআর।
ওই তিনজনের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে এসেছিলেন। ইতালি ফেরত একজনের পরিবারের সদস্য ছিলেন আক্রান্ত তৃতীয়জন। ওই সময় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি আরও চারজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।
এরপর গত ১৪ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও দুজন আক্রান্তের খবর জানান। ওই দুজন ইউরোপের দেশ ইতালি ও জার্মানি থেকে এসেছিলেন। তাদেরই একজনের মাধ্যমে পরিবারের এক নারী ও দুই শিশুর আক্রান্ত হওয়ার খবর আইডিসিআর জানায় সোমবার।
বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় দুই লাখে; মৃতের সংখ্যা আট হাজারের ঘর ছুঁইছুঁই করছে।