কোভিড-১৯: ম্যালেরিয়ার ওষুধ সেবনে মার্কিন এফডিএর সতর্কতা
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাসপাতালের বাইরে নিজে নিজে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার না করতে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এফডিএ।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ওষুধ সেবনে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে বলে শুক্রবার এফডিএর এক বার্তায় সতর্ক করা হয়।
একদিন আগে ইউরোপীয় ইউয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করে বিবৃতি দেয়। এ ধরনের ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় চিকিৎসকদের।
কোভিড-১৯ নিরাময়ে এসব ওষুধের কার্যকরিতা নিয়ে তেমন কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ধারণা, ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রাখে।
মূলত ট্রাম্পের আগ্রেহেই গত ৩০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য ওই দুটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো বৃহস্পতিবার জানান, বড় এক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করে সুস্থ হওয়ার হারে তেমন কোনো হেরফের দেখা যায়নি।
আর শুক্রবার এফডিএ এর সতর্কবার্তায় বলা হয়, হাইসাপাতালের বাইরের রোগীদেরও ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবনের পরামর্শ দেওয়ার হার বাড়ছে। কিন্তু এসব ওষুধ সেবনে হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে এবং হৃদস্পন্দনের হার বিপজ্জনক পর্যায়ে বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষ করে রোগী যখন এজিথ্রোমাইসিনের মত অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে ম্যালেরিয়ার ওই ওষুধ খান, কিংবা যাদের আগে থেকেই হৃদযন্ত্র বা কিডনির জটিলতা আছে, তাদের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে বলে জানিয়েছে এফডিএ।